বিনামসুর-১২ |
|||||||||||||||
জাতে র নামঃ |
|||||||||||||||
বিনামসুর-১২ |
|||||||||||||||
জাতের বৈশিষ্ট্যঃ |
|||||||||||||||
গাছের উচ্চতা ৩৮-৪২ সেমি., গাছ খাড়া, কান্ড ৫-৭টি শাখাবিশিষ্ট, গোড়া সাদাটে ও পাতা গাঢ় সবুজ বর্ণের, জীবনকাল ৯৫-১০০ দিন, ফলন ২.৭ টন/হে., গোড়া পঁচা এবং মরিচা রোগপ্রতিরোধী, খরা সহিষ্ণু, ১০০০ বীজের ওজন ২১.৮ গ্রাম এবং প্রোটিন ৩০%। |
|||||||||||||||
জমি ও মাটিঃ |
|||||||||||||||
দো-আঁশ ও এটেল দো-আঁশ মাটি মসুর চাষের উপযোগী। বিশেষ করে ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, চূয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা অঞ্চলে ভাল হয়। |
|||||||||||||||
জমি তৈরীঃ |
|||||||||||||||
তিন-চারটি চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পরিস্কার করে জমি তৈরী করতে হয়। জমি উত্তমভাবে ঝুরঝুরে করে নেওয়া ভাল। |
|||||||||||||||
বপনের সময়ঃ |
|||||||||||||||
কার্তিক মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে কার্তিক মাসের ৪র্থ সপ্তাহ (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। তবে বিনামসুর-১২ জাতটি (নভেম্বরের ২৫ তারিখ পর্যন্ত) বিলম্বে বপনের উপযোগী। |
|||||||||||||||
বীজ হারঃ |
|||||||||||||||
ছিটিয়ে বপন করলে একর প্রতি ১৪-১৬ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। তবে সারিতে বপন করলে একর প্রতি দুই কেজি বীজ কম লাগে। সাধারনত: চাষ করা জমিতে বীজ ছিটিয়ে বোনার পর মই দিয়ে বীজ গুলো ঢেকে দিতে হবে। সারিতে বপন করলে পরিচর্যা সহজ হয়। সারিতে বপনের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরত্ত ৩০ সেমি (১ ফুট) এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ত ৫-৮ সেন্টিমিটার রাখতে হবে। |
|||||||||||||||
বীজ শোধনঃ |
|||||||||||||||
উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করতে হলে পুষ্ট ও রোগবালাই মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজ শোধনরে জন্য ২৫ গ্রাম ভিটাভ্যাক্স-২০০ ব্যবহার করলে ভাল হয়। |
|||||||||||||||
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ |
|||||||||||||||
জমিতে শেষ চাষের সময় নিম্নরুপ সার ব্যবহার করতে হয়ঃ
উর্বর জমি হলে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যাবে না। এছাড়া জীবাণুসার ব্যবহার করলে ইউরিয়া প্রয়োগের প্রয়োজন নাই। প্রয়োগরে নিয়মঃ জমি তৈরীর শেষে চাষের আগে সর্ম্পূণ সার জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। |
|||||||||||||||
সেচ ও নিস্কাশনঃ |
|||||||||||||||
অতি বৃষ্টির ফলে জমিতে যাতে পানি জমে না থাকে সেজন্য পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মসুরে সাধারণত: সেচের প্রয়োজন পড়ে না। তবে অতি খরা হলে একটি সেচ দেয়া যেতে পারে। |
|||||||||||||||
আগাছা দমনঃ |
|||||||||||||||
চারা গজানোর পর জমিতে আগাছা দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিড়ানী দ্বারা আগাছাগুলো পরিস্কার করে ফেলতে হবে। |
|||||||||||||||
বালাই ব্যবস্থাপনাঃ |
|||||||||||||||
বিনামসুর-১২ জাত গোড়া পচা এবং মরিচা রোগ সহ্যক্ষমতা সম্পন্ন। সাধারনত: কোন ছত্রাক নাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। তবে ছত্রাকের আক্রমন হলে টিল্ট ২৫০ ইসি ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানির সাথে মিশ্রিত করে ১২-১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। |
|||||||||||||||
হেক্টর প্রতি ফলনঃ |
|||||||||||||||
হেক্টর প্রতি ২৭০০ কেজি । |
|||||||||||||||
|
|||||||||||||||
প্রয়োজনে সংশ্লষ্টি বিশেষজ্ঞর সাথে কথা বলুন
মসুর ডাল ফসল বিশেষজ্ঞ (সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা) কলকরুনঃ +৮৮০১৭১০৮৭৯৮১৩ ই-মইেলঃ islamtariqul05@yahoo.com দায়িত্বপ্রাপ্ত র্কমর্কতার নাম ও পদবী ড. মো. তারিকুল ইসলাম প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ক্রপ ফিজিলজি বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২। |