Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ জুলাই ২০২৫

বিনা কালজিরা১

 

 জাতের নামঃ বিনা কালজিরা১

 

জাতের বৈশিষ্ট্যঃ বিনা কালজিরা১   উচ্চ ফলনশীল। এ জাতের গাছ মাঝারি লম্বা ৬০-৬৫ সে.মি., শাখা প্রশাখা ১২-১৫ টি । প্রতি গাছে পডের সংখ্যা গড়ে ৩৫-৪৫ টি, বীজ প্রচলিত জাতের তুলনায় বড়। জীবনকাল ১১৭-১২০ দিন।

 

জমি ও মাটিঃ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন বেলে দোআঁশ থেকে দোআঁশ  মাটি কালজিরা চাষের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সব মাটিতেই বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা যেতে পারে। জলাবদ্ধতা সহ্য ক্ষমতা কম। খরা মৌসুমে সেচ প্রদান  করে চাষ করা যায়। শুকনা ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া কালিজিরা আবাদে খুব অনুকূল। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আবহাওয়া বালাইয়ের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। ফুল ফোটার সময় বৃষ্টি হলে কালিজিরার ফলন কমে যায়।

 

জমি তৈরীঃ ৩ থেকে ৪টি চাষ ও আড়াআড়ি মই দিয়ে মাটি ঝুরাঝুরে করে আগাছা পরিষ্কার করে জমি সমতল করে বীজ বপন করতে হয়।

 

বপণের সময়ঃ বাংলাদেশে রবি মৌসুমে ( মধ্য অক্টোবর-মার্চ) কালোজিরার চাষ হয়ে থাকে।

 

বীজ হারঃ সারিতে রোপন করা উত্তম। ছিটিয়ে বপন করলে প্রতি হেক্টরে ৮-১০ কেজি। সারিতে চারা রোপন করলে (১৫×১০ সে.মি. দূরত্বে) প্রতি হেক্টরে ৪-৬ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।

 

বীজ শোধনঃ বীজ বপনের আগে আলাদা করে শোধনের দরকার নেই। তবে বোনার আগে ভালো করে ধুয়ে ধুলাবালি ও চিটা বীজ সরিয়ে নেয়া ভালো। ভেজা বীজ বপন করা উচিত না।

 

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ

হেক্টর প্রতি  সারের পরিমাণ:

 পচা গোবর: :৫-১০ টন, ইউরিয়া: ১২৫ কেজি, টিএসপি: ১০০ কেজি এবং এমওপি: ৭৫ কেজি।

প্রয়োগ পদ্ধতি:

জমি চাষের পূর্বে সম্পূর্ণ পঁচা গোবর সার ছিটিয়ে দিতে হবে। অর্ধেক ইউরিয়া, সম্পূর্ণ টিএসপি ও এমপি সার শেষ চাষের আগে জমিতে ছিটিয়ে ভালভাবে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। অবশিষ্ট ইউরিয়া সার বীজ বপনের ৩৫-৪০ দিন পর আগাছা বাছাইয়ের পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। মাটিতে প্রয়োজনীয় রস না থাকলে সার উপরি প্রয়োগের পর সেচ দেওয়া ভালো। জমিতে অবশ্যই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

 

বালাই ব্যবস্থাপনাঃ কালোজিরা সহজে তেমন কোনো পোকামাকড়ে আক্রান্ত হয় না। বরং এর স্বাভাবিক পোকামাকড় ধ্বংসের ক্ষমতা আছে। সে রকম রোগবালাইও তেমন হয় না। মাঝে মাঝে কিছু ছত্রাক আক্রমণ দেখা দিলে রিডোমিল গোল্ড বা ডাইথেন এম ৪৫ প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ২-৩ বার ১০ দিন পরপর ছিটিয়ে দিতে হবে।

 

হেক্টর প্রতি ফলনঃ উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে এ জাতটি হেক্টর প্রতি প্রায় ১.২ টন পর্যন্ত ফলন দিতে পারে।

 

প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন ধান ফসল বিশেষজ্ঞ