Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ জুলাই ২০২৫

বিনা কুল১

 জাতের নামঃ বিনা কুল১

জাতের বৈশিষ্ট্যঃ

ক)  নাবী জাত।

খ) ফল আকারে বেশ বড় ও ডিম্বাকৃতির, বহিরাবণ মসৃণ, সুগন্ধীযুক্ত ও সুস্বাদু ।

গ) ফল পাকার পর সোনালী–হলুদ রং ধারন করে, বীজ আকারে খুব ছোট, ডিম্বাকৃতির এবং গড় ওজন ২ গ্রাম ।

ঘ) প্রতিটি  ফলের গড় ওজন ৬৪ গ্রাম।

ঙ) ফলের  ভক্ষনযোগ্য অংশ ৯৫-৯৮% এবং টিএসএস এর পরিমাণ ১৫.৫%।

চ) ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি  বিদ্যমান। এর পরিমান ৫৫ মিলিগ্রাম/১০০ গ্রাম ।

ছ) শাঁস সাদা, কচকচে, কষ্টিভাব বিহীন, রসালো ও টক -মিষ্টি।

জ) কলমের চারা মার্চ-এপ্রিল মাসে রোপন করলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে ফুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল মাসে ফল সংগ্রহ করা যায়।

ঝ) এক বছরের একটি গাছে ৫-২০ কেজি  ফল পাওয়া যায়।

ঞ) উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে এ জাতের ফলন ২৫-৪০ টন/হেক্টর পাওয়া যায়।

জমি ও মাটিঃ

কসাধারত উষ্ণ ও শুষ্ক জলবায়ু কুল চাষের জন্য সর্বোত্তম। এতে কুলের ফলন ও গুণগতমান উভয়ই ভালো হয়।তবে কুলের পরিবেশ উপযোগিতা ব্যাপক বিধায় আর্দ্র ও ঠান্ডা আবহাওয়া ও সফলভাবে এর চাষ করা সম্ভব। অতিরিক্ত আর্দ্র জলবায়ু কুলের জন্য  ক্ষতিকর। ছায়ায় জন্মানো গাছের ফলন ও মিষ্টতা  কম হয়। বেশী তাপমাত্রায় ফলের আকার বড় বা ছোট হয় এবং অল্প সময়ে ফল পূর্ণতা লাভ করে। এ ফসলের জন্য পানি সেচ ও নিষ্কাশন সম্পন্ন  মধ্যম অম্ল-ক্ষার (pH=৫-৮.৫) সম্পন্ন  দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি উত্তম। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় পাহাড়ী ও সমতল উভয় এলকাতেই সব ধরনের মাটিতেই  বানিজ্যিকভাবে কুল চাষ করা হয়। অন্যান্য প্রধান ফল ও ফসলের জন্য উপযোগী নয় এ ধরনের অনুর্বর জমিতেও সন্তোসজনকভাবে কুল চাষ করা যায়। বেলে মাটিতেও এ কুল সফলভাবে চাষ করা যায়।

জমি তৈরীঃ

জমি গভীরভাবে চাষ দিয়ে আগাছা ভালভাবে পরিষ্কার করে ষড়ভুজ কার্যকর পদ্ধতিতে ৩ মি. x ৩ মি./ ৪ মি. x ৪ মি. দূরত্বে ৫০-৭৫ সে.মি. x ৫০-৭৫ সে.মি. আকারে গর্ত খনন করে প্রতি গর্তে সুপারিশকৃত সার প্রয়োগ করে গর্তের মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে রেখে ১৫-২০ দিন পরে কলমকৃত কুলের চারা রোপন করতে হবে।

বপণের সময়ঃ

মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চারা লাগানোর উত্তম সময় তবে পানি সেচ এর ব্যবস্থা থাকলে সারা বছর কুলের চারা লাগানো যায়।

বীজ হারঃ

৪ মি. x ৪ মি. দূরতে ষড়ভুজ পদ্ধতিতে গাছ লাগালে প্রতি হেক্টরে ৭১৮টি চারা প্রয়োজন।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ

রোপনের পূর্বে প্রতি গর্তে (৫০-৭৫ সে.মি. আকারের গর্ত ) ২০ কেজি গোবর, ৫০ গ্রাম খৈল, ১৫০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ১৫০ গ্রাম টিএসপি ও ১৫০ গ্রাম পটাশ ও ২ কেজি ছাই প্রয়োগ করতে হবে। রোপনের ২/৩ মাস পর  প্রতি গাছে ১৫০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ১৫০ গ্রাম করে টিএসপি ও পটাশ এবং ৪০-৫০ গ্রাম করে বোরন ও জিংক সার প্রয়োগ করতে হবে।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ

জমিতে অবশ্যই পানি সেচ ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে মাটিতে রস রাখার জন্য নিয়মিত সেচ প্রদান করতে হবে।

আগাছা দমন ও মালচিং

গাছের গোড়া সব সময় পরষ্কিার রাখতে হব। অক্টোবর–এপ্রলি মাস র্পযন্ত ঘাস, লতা-পাতা প্রয়োগ করে মার্লচিং দিলে গাছের গোড়ার মাটিতে অনেকদিন রস থাকে।

বালাই ব্যবস্থাপনাঃ

এ জাতে রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন প্রচলিত জাত এর চেয়ে কম। কিন্তু যদি পোকা-মাকড় ও রোগ বালাই দেখা দেয়, তাহলে পোকার জন্য কীটনাশক এবং রোগের জন্য ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ

উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে এ জাতের ফলন ২৫-৪০ টন/হেক্টর পাওয়া যায়।