Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ জুন ২০২৫

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ

বিভাগের নাম

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ

বিভাগীয় প্রধানের নাম ও পদবী

ড. মোহাম্মদ নুরুন-নবী মজুমদার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

বিভাগীয় প্রধানের ছবি

বিভাগের বর্ণনা (সর্বনিম্ন ২৫০ শব্দ)

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে। শুরু থেকেই এই বিভাগের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারসহ প্রচলিত প্রজনন পদ্ধতি, মিউটেশন ব্রিডিং এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের (ফল, সবজি, মসলা, ফুল ইত্যাদি) স্বল্প জীবন কাল সম্পন্ন উচ্চফলনশীল, পুষ্টি সমৃদ্ধ ও ঘাত সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন। এছাড়া, উচ্চফলনশীল অধিক পুষ্টি ও ভিটামিন সমৃদ্ধ (জিঙ্ক, আয়রণ, বিটা-ক্যারোটিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট) সমৃদ্ধ উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের জাত উদ্ভাবন করা । এছাড়া উদ্যানতাত্তিক ফসলের সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধি করে  ফসল সংগ্রহত্তোর ক্ষতি কমিয়ে ফল, সবজি, মসলা ও ফুলের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করা।  বিনা উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ হতে এ পর্যন্ত ০৮ টি ফসলের মোট ১৫ টি জাত উদ্ভাবন করেছে যা জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক অবমুক্ত হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে কৃষকের মাঠে আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে বিনার উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিজ্ঞানীগন মিউটেশন ব্রিডিং ছাড়াও হাব্রিড ব্রিডিং, ইন-ভিট্রু মিউটাজেনিসিস এবং মলিকুলার ব্রীডিং ইত্যাদি গবেষণা কর্মকান্ডে নিয়োজিত আছেন যার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল, ঘাত সহিষ্ণু ও উন্নত মানের উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা। 

ম্যান্ডেট

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের ম্যান্ডেট:

  • ফসলের স্বল্প জীবন কাল সম্পন্ন উচ্চফলনশীল, পুষ্টি সমৃদ্ধ ও ঘাত সহিষ্ণু জাত এবং সংগ্রহত্তোর ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবনে প্রচলিত প্রজনন পদ্ধতির সাথে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারসহ অন্যান্য  অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা। 
  • উদ্ভাবিত ফসলের জাতসমূহের নিউক্লিয়ার বীজ, প্রজনন বীজ ও মানসম্মত বীজ এবং চারা (প্রয়োজন হলে) উৎপাদন ও বিতরণ করা।
  • ফসলের জার্মপ্লাজম সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা।
  • এমএস ও পিএইচডিতে অধ্যয়নরত ছাত্র/ছাত্রীদের গবেষণা কাজে সহায়তা করা।

সাফল্য (উল্লেখযোগ্য জাত/প্রযুক্তি)

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সাফল্য:

পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের জাত উদ্ভাবনে উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ অন্যতম ভূমিকা পালন করে। ২০১১ সাল হতে এ বিভাগ অদ্যাবধি টমেটো, পিঁয়াজ, রসুন, হলুদ, কালজিরা, মরিচ, লেবু, কুল ও সফেদাসহ মোট ০৮ টি ফসলের ১৫ টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এ বিভাগ হতে উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল জাতসমূহ প্রতিকূল পরিবেশে ভাল ফলন দিয়ে দেশের উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

 

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত সবজি ফসলের জাতসমূহঃ

 

বিনাটমেটো-১১:

বীজ হলুদ বর্ণের

গাছের উচ্চতা ১০৩-১১০ সে.মি.

১০০০ বীজের ওজন ৩.৫-৪.৫ গ্রাম

বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪%

জীবনকাল : ৭৮-৮২ দিন

সর্বোচ্চ ফলন: ২.১ টন/হেক্টর

 

বিনাটমেটো-১২:

গাছের গড় উচ্চতা ১১৫-১২০ সে.মি.

পাতার রং সবুজ

ফলের আকৃতি ডিম্বাকার

প্রতিটি গাছে ফলের সংখ্যা, ৩৫-৪০টি

প্রতিটি ফলের ওজন, ৮০-৯০ গ্রাম

চারা লাগানো হতে ফল পাকা পর্যমত্ম সময়, ৭০ থেকে ৮০ দিন

ভিটামিন সি এর পরিমাণ, ২৫.৬৪ মি.গ্রাম/১০০ গ্রাম

হেক্টর প্রতি গড় ফলন, ৯৫ থেকে ১০০ টন

 সেল্ফলাইফ, ২০ থেকে ২৫ দিন 

 

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত মসলা জাতীয় ফসলসমূহ:

 

বিনারসুন-১:

গাছের গড় উচ্চতা ৭৫-৮০ সে.মি

প্রতিটি বাল্বের গড় ওজন ২৬.২৫ গ্রাম

প্রতিটি গাছে পাতার সংখ্যা ১১-১৪ টি

প্রতিটি বাল্বে কোয়ার সংখ্যা ২৪-৩০টি

রোগ ও পোকার আক্রমণ খুব কম

জীবনকাল ১৩৫-১৪০ দিন

উচ্চ ফলনশীল ও ভাল সংরক্ষণ গুণাগুণ সম্পন্ন

হেক্টর প্রতি ফলন ১৩-১৫ টন  

 

বিনাপিঁয়াজ-১

একবর্ষজীবী অর্থাৎ এটি একই বছরে বীজ থেকে বীজ উৎপাদন করতে পারে।

 খরিফ-১ মৌসুমের উপযোগী গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজের জাত।

 জীবনকাল ২০০-২১০ দিন (বীজ থেকে বীজ) এবং কন্দ উৎপাদনের জন্য ১০০-১১০ দিন (সরাসরি বপন) এবং ১১০-১২০ দিন (চারা রোপন) ।

 কক্ষ তাপমাত্রায় এটি  ২.০ মাস বা তার বেশি সময় পর্যমত্ম সংরক্ষণ করা যায়।

প্রতিটি গাছে পাতার সংখ্যা ৮-১১ টি।

 প্রতিটি শল্ককন্দের ওজন (বাল্ব) ১৫-২০ গ্রাম।

গাছের উচ্চতা ৩৯-৪২ সে. মি.।

 কন্দের রং ও আকৃতি লালচে, অনেকটা চ্যাপ্টা, গলা চিকন।

কন্দের ফলন গড়ে ৮.২১ টন/হে.; বীজের ফলন গড়ে ৬৩৫ কেজি/ হে.।

 

বিনাপিঁয়াজ-২

একবর্ষজীবী অর্থাৎ এটি একই বছরে বীজ থেকে বীজ উৎপাদন করতে পারে।

খরিফ-১ মৌসুমের উপযোগী গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজের জাত।

জীবনকাল ২১০-২১৫ দিন (বীজ থেকে বীজ) এবং কন্দ উৎপাদনের জন্য ১০৫-১১০ দিন (সরাসরি বপন) এবং ১১৫-১২০ দিন (চারা রোপন) ।

কক্ষ তাপমাত্রায় এটি  ২.০ মাস বা তার বেশি সময় পর্যমত্ম সংরক্ষণ করা যায়।

প্রতিটি গাছে পাতার সংখ্যা ৫-৬ টি।

প্রতিটি শল্ককন্দের ওজন (বাল্ব) ১৪-১৯ গ্রাম।

গাছের উচ্চতা ৩৮-৪২ সে. মি.।

কন্দের আকৃতি ও রংগোলাকার লালচে বর্ণের ও গলা লম্বাটে।

কন্দের ফলন গড়ে ৮.৬৮ টন/হে.; বীজের ফলন গড়ে ৬৯৮ কেজি/ হে.।

 

বিনাহলুদ-১

একটি আধুনিক উচ্চফলনশীল জাত, প্রচলিত জাতের তুলনায় ফলন বেশী।

গাছ লম্বা আকৃতির, পাতা গাঢ় সবুজ এবং লম্বা।

পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা ১২৫-১৩৫ সে.মি.।

পাতার সংখ্যা ১৬-২২ টি এবংপাতার দৈর্ঘ্য ৫৫-৬৫ সে.মি.।

প্রতি গাছে ছড়ার সংখ্যা ২৮-৩৫ টি। ছড়া ১২-১৫ সে.মি.লম্বা এবং ৩-৫ সে.মি. চওড়া।

প্রতি গাছে হলুদের ওজন ৮৫০-১০০০ গ্রাম।

শাঁস আকর্ষণীয় গাঢ় হলুদ এবং শুষ্ক পদার্থের পরিমান শতকরা ৩৮-৪৫ ভাগ।

লিফব্লচ এবং রাইজোম রট রোগ সহনশীল। বপনের ২৮০-৩০৫ দিনের মধ্যে ফলন সংগ্রহ করা যায়। জাতটির হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৩০-৩৩ টন।

 

 

বিনামরিচ-১

এ জাতের মরিচের গাছ খর্বাকৃতির, গাছ খাড়া, পাতা গাঢ় সবুজ এবং চওড়া, ফল অনেক লম্বা (১১ সেমি.-১৬ সেমি. ও চওড়া।

পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা ৪৫-৫৫ সেমি.

প্রতি গাছে মরিচের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫টি।

চারা লাগানোর ৩০-৩৫ দিন পর গাছে ফুল আসা শুরম্ন করে এবং পরবর্তী ২৮ দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচ পাওয়া যায়।

সাধারণত ৮-৯ বার ফল তোলা যায়।

 

বিনামরিচ-২

উচ্চ ফলনশীল, প্রচলিত জাতের তুলনায় ফলন প্রায় ১.৫ গুণ বেশী।
গাছ লম্বা, ঝোঁপালো এবং প্রচুর শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট হয়।
ফল কাঁচা অবস্থায় গাঢ় সবুজ এবং পাকা অবস্থায় আকর্ষনীয় লাল রংয়ের হয়ে থাকে।
কাঁচা মরিচের ঝাল বেশি, ফল সুগন্ধিযুক্ত এবং ত্বক পুরু। প্রতি গাছে মরিচের সংখ্যা ১৫০-২০০ টি, ফলের দৈর্ঘ্য ১০-১৫ সে.মি. এবং প্রস্থ ৩-৪.৫ সে.মি.।
কাঁচা মরিচ সংগ্রহের ৮-১০ দিন পযন্ত স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যবহার উপযোগী।
প্রথম মরিচ সংগ্রহের পর ফলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
জীবনকাল ১৮০-২১০ দিন, ফলন ২৯-৩২ টন/হে.

 

বিনাকালজিরা-১

প্রস্তাবিত জাতটি উচ্চ ফলনশীল।

এ জাতের গাছ মাঝারি লম্বা ৬০-৬৫ সেমি, শাখা প্রশাখা ১২-১৫টি । 

প্রতি গাছে পডের সংখ্যা গড়ে ৩৫-৪৫ টি।

১০০০ টি বীজের ওজন ২.৬-৩.২ গ্রাম, বীজ প্রচলিত জাতের তুলনায় বড়।

জীবনকাল ১১৭-১২০ দিন।

উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে এ জাতের ফলন প্রায় ১.২টন/হে: পাওয়া যায়।

 

উদ্যানতাত্ত্বিক বিভাগ কর্তৃক ফলজাতীয় ফসলের জাতসমূহ:

 

বিনালেবু-১

সারা বছর ফল দেয়।
ফল ডিম্বাকার, ফলের অগ্রভাগ সূচাঁলোএবং সুগন্ধিযুক্ত।
পরিপক্ক অবস্থায় কিছু ফলের ২-৩ টা বীজ থাকতে পারে কিন্তু অধিকাংশই বীজ শূন্য।
প্রতি ফলের ওজন ৯০-১৫০ গ্রাম।
ফলের চামড়ার পুরুত্ব ০.৩-০.৪ সে.মি.।
একটি পরিপক্ক ফলে ৩৮ শতাংশ রস থাকে।
কলমের চারা রোপনের সময় থেকে ১০-১১ মাসের মধ্যে প্রথম ফলন পাওয়া যায়।
এক বছরের একটি গাছে ১৫০-১৮০ টি ফল পাওয়া যায়।

 

বিনালেবু-২

ফল ডিম্বাকৃতি থেকে সিলিন্ডাকৃতির, ফলের অগ্রভাগ সূচাঁলো ,বহিরাবণ মাঝারি মসৃণ এবং সুগন্ধিযুক্ত

ভিটামিন সি এর পরিমান ৬৮-৭৫ মি.গ্রা. মিলিগ্রাম/১০০ গ্রাম এবং রসের পরিমাণ খুব বেশী, ৩১-৩৫%, রসে এসিডের পরিমাণ ৫.১%

জীবনকাল: বারমাসি

ফলন: ৩৫-৫০ টন/হেক্টর

 

বিনালেবু-৩

প্রতিটি ফলের ওজন ১৭৪-২২২ গ্রাম

ফলে ভিটামিন-সি এর পরিমান ৮৮ মিলিগ্রাম/১০০ গ্রাম এবং রসের পরিমাণ বেশী, ৪৩-৪৮%। রসে এসিডের  পরিমাণ ৭.৪%। টিএসএস এর পরিমাণ ৬.৫%। ভক্ষণযোগ্য অংশের পরিমাণ ৫৩-৫৮%।

১৫-২০ দিন পর্যন্ত জলমগ্নতা সহনশীল

এক বছরের একটি গাছে ৩০-৭০ টি এবং দুই বছরের গাছে ১৫০-২৫০ টি ফল পাওয়া যায়

এ জাতটি সাইট্রাস গ্রীনিং রোগ প্রতিরোধী

ফলন ৪৫-৬৫ টন/হেক্টর।

 

 

বিনাকুল-১

টক-মিষ্টি স্বাদের উচ্চফলনশীল নাবী জাত

প্রতিটি ফলের গড় ওজন ৬৪ গ্রা.

ফলে ভিটামিন-সি এর পরিমান ৫৫ মি.গ্রা./১০০ গ্রা. । টিএসএস এর পরিমাণ ১২-১৫%। ভক্ষণযোগ্য অংশের পরিমাণ ৯৬%।

শাস সাদা, কচকচে, কষ্টাবিভাববিহীন, রসালো।

এক বছরে একটি গাছে ৫-২০ কেজি ফল পাওয়া যায়।

ফলন ২৫-৪০ টন/হেক্টর।

 

বিনাসফেদা-১

নাবী জাত

ফল বড় আকৃতির, সুস্বাদু, সুমিষ্ট এবং সুঘ্রাণযুক্ত

প্রতিটি ফলের ওজন ২৫০-৪৫০ গ্রা. হয়ে থাকে।

টিএসএস এর পরিমাণ ২৪-২৮%

ভিটামিন সি এর পরিমান ১৫.৫৮ মি.গ্রা./১০০গ্রাম ফলের ওজন

এসিডের পরিমান ০.৯১%

ভক্ষণযোগ্য অংশের পরিমাণ ৮৫-৯০ %

ফলন ২৪-৪৯ টন/হে.।

 

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ:

 

গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে কক্ষতাপমাত্রায় পেঁয়াজের গুণগতমান বজায় রেখে সংরক্ষণকাল বৃদ্ধি:

বাংলাদেশে উচ্চ তাপমাত্রা ও উচ্ছ আর্দ্রতার কারণে কৃষকগণ ২-৩ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। ২-৩ মাস পর কৃষককে উচ্চ মূল্য পেপযাজ ক্রয় রেতে হয় এবং বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গবেষণালব্ধ ফলাফল হতে প্রতীয়মান হয় যে, ১০০ গ্রে. ডোজে ইরাডিয়েশন প্রয়োগ করে প্রায় ৭-৯ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায়।

বার্ক গ্রাফটিং করার পদ্ধতিঃ

মার্চ-আগস্ট মাস তবে বাতাসের আর্দ্রতা বেশী থাকলে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত করা যাবে। অর্থাৎ বর্ষাকাল এ কলম করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারাদেশের বাণিজ্যিক ফলবাগানীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা লাভবান হবেন ।

নচ (Notch) এবং বার্ক (Bark) গ্রাফটিং: বয়স্ক ফলগাছকে ফলবান ও উন্নত জাতে রুপান্তর করার আধুনিক প্রযুক্তি:

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের আওতায় একটি গবেষণায়, ৩টি ৫ বছর বয়সী, ৩টি ১০ বছর বয়সী, ৩টি ১৫ বছর বয়সী এবং ৩টি ২০ বছর বয়সী অনুন্নত আম গাছকে ১মিটার উচ্চতায় কেটে তার উপর  উন্নত জাতের আম (আম্রপালি, বারি আম-৪, বাউ আম-১৪/ব্যানানা, গোপালভোগ ও বাউ আম-৬) এর ৫টি করে নচ ও ৫টি করে বার্ক গ্রাফটিং করা হয়। সফলতার হার বিবেচনায় দেখা যায়, ৫ বছর বয়সী গাছে ৮০% নচ গ্রাফটিং ও ৮০% বার্ক গ্রাফটিং, ১০ বছর বয়সী গাছে ৬০% নচ গ্রাফটিং ও ৮০% বার্ক গ্রাফটিং, ১৫ বছর বয়সী গাছে ৬০% নচ গ্রাফটিং ও ৭৫% বার্ক গ্রাফটিং এবং ২০ বছর বয়সী গাছে ৫০% নচ গ্রাফটিং ও ৭০% বার্ক গ্রাফটিং সফল হয়েছে। জাতের বিবেচনায়, আম্রপালি জাতে নচ ও বার্ক গ্রাফটিং এ সফলতার হার বেশী পাওয়া গেছে।

জনবল

পদবী

সংখ্যা

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

০১

উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

০৪

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

০৬

সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

০১

আন্তর্জাতিক কার্যক্রম(যদি থাকে)