Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ জুলাই ২০২৫

বিনা সফেদা১

জাতের নাম: বিনা সফেদা ১

জাতের বৈশিষ্ট্য:

ক. নাবী জাত;

খ. ফল আকারে বেশ বড় (প্রতিটির ওজন ২৫০-৪৫০ গ্রাম) ও গোলাকার থেকে ডিম্বাকৃতির, সুগন্ধীযুক্ত ও সুস্বাদু;

গ. ফল পাকার পর তামাটে রং ধারন করে;

ঘ) ফলের ভক্ষনযোগ্য অংশ ৮০-৯০% এবং টিএসএস (% ব্রিক্স) এর পরিমাণ ২৪-২৮%;

(ঙ) শাঁস তামাটে-বাদামী বর্ণের, মোলায়েম, কষ্টিভাব বিহীন, রসালো ও মিষ্টি।

জমি ও মাটিঃ

এ ফসলের জন্য পানি সেচ ও নিষ্কাশন সম্পন্ন মধ্যম অম্ল-ক্ষারত্ম (pH-৫-৮.৫) সম্পন্ন দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি উত্তম। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় পাহাড়ী ও সমতল উভয় এলাকায় সব ধরনের মাটিতেই বানিজ্যিকভাবে সফেদা চাষ করা হয়।

জমি তৈরী:

জমি গভীরভাবে চাষ দিয়ে আগাছা ভালভাবে পরিষ্কার করে ষড়ভুজ পদ্ধতিতে ৩ মি. × ৩ মি./৪ মি.×৪ মি./৫ মি.×৫ মি. দূরত্বে ৫০-৭৫ সে.মি. × ৫০-৭৫ সে.মি. × ৫০-৭৫ সে.মি আকারে গর্ত খনন করে প্রতি গর্তে সুপারিশকৃত সার প্রয়োগ করে গর্তের মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে রেখে ১৫-২০ দিন পরে কলমকৃত সফেদার চারা রোপন করতে হবে।

বপণের সময়:

এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চারা লাগানোর উত্তম সময় তবে পানি সেচ এর ব্যবস্থা থাকলে সারা বছরেই সফেদার চারা লাগানো যায়।

বীজ হার:

৪ মি. × ৪ মি. দূরতে ষড়ভুজ পদ্ধতিতে গাছ লাগালে প্রতি হেক্টরে ৭১৮টি চারা প্রয়োজন।

বীজ শোধন:-

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ

রোপনের পূর্বে প্রতি গর্তে (৫০-৭৫ সে.মি. × ৫০-৭৫ সে.মি. × ৫০-৭৫ সে.মি. আকারের গর্ত) ২০ কেজি গোবর, ৫০ গ্রাম খৈল, ৫০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৫০ গ্রাম টিএসপি ও ৫০ গ্রাম পটাশ ও ২ কেজি ছাই প্রয়োগ করতে হবে। রোপনের ২ ৩ মাস পর প্রতি গাছে ৫০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৫০ গ্রাম করে টিএসপি ও পটাশ এবং ৪০-৫০ গ্রাম করে বোরন ও জিংক সার প্রয়োগ করতে হবে।

সেচ ও নিষ্কাশন:

জমিতে অবশ্যই পানি সেচ ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

আগাছা দমন ও মালচিংঃ

গাছের গোড়া সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। অক্টোবর-এপ্রিল মাস পর্যন্ত ঘাস, লতা-পাতা প্রয়োগ করে মালর্চং দিলে গাছের গোড়ার মাটিতে অনেকদিন রস থাকে।

বালাই ব্যবস্থাপনা:

এ জাতে রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন প্রচলিত জাত এর চেয়ে কম। কিন্তু যদি পোকা-মাকড় ও রোগ বালাই দেখা দেয়, তাহলে পোকার জন্য কীটনাশক এবং রোগের জন্য ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

হেক্টর প্রতি ফলন:

উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে এ জাতের ফলন ২৫-৪০ টন/হেক্টর পাওয়া যায়।

চিত্র: